কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাব্য সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আধা-সরকারি পত্রের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাব্য সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক পরিধান করা, মাস্ক পরিধান বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের সামনে দৃশ্যমান স্থানে ‘মাস্ক ব্যবহার ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ/No Mask No Entry’ অথবা ‘মাস্ক পরিধান করুন, সেবা নিন/Wear Mask, Get Service’ বিষয়ে ব্যানার স্থাপন এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জারিকৃত পরিপত্রসমূহের নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, মাস্ক ব্যতীত অফিস/আদালত/শপিংমল/বাজার/সামাজিক/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে না যাওয়া এবং কোনো সাহায্য/সহযোগিতা/সার্ভিস না পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
গত ২৫ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ না করা এবং সেবা না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সব লেভেলে ম্যাসিভ ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের যতগুলো ইনস্টিটিউশন আছে সোশ্যাল বা ফরমাল প্রতিষ্ঠান, সব জায়গায় আমরা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি- নো মাস্ক নো সার্ভিস।
তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, শপিংমল, সামাজিক বা ধর্মীয় যেকোনো সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS